ভরসা তবু তামিমেই
শেষ পর্যন্ত প্রশ্নটার উত্তর তাই একটাই—তামিম ইকবাল!
কী প্রশ্ন? চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের কার ব্যাটে সবচেয়ে বেশি ভরসা রাখা যায়? শুধু ব্যাটিং ব্যাকরণের পরীক্ষা যদি নেন, মুশফিকুর রহিমের চেয়ে বেশি নম্বর বাংলাদেশের কেউ পাবেন না। ধারাবাহিকতায় আবার সাকিব আল হাসান এগিয়ে থাকবেন। সৌম্য সরকারের ব্যাট যেন বদলে যাওয়া বাংলাদেশেরই প্রতীক। সাব্বির রহমানের নির্ভীক ব্যাটিং আশা দেখায় আগামী দিনের বাংলাদেশকে নিয়ে। কিন্তু তাঁরা কেউই আসলে তামিম নন!
একটা সময় তাঁর ব্যাট ছিল ঔদ্ধত্যের প্রতিশব্দ। তিনিও এত কিছু বুঝতে-শুনতে চাইতেন না। বোলারদের যেভাবে পারা যায় পেটানোই মনে করতেন সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। কিন্তু সেই তামিম আর এখনকার তামিমে অনেক পার্থক্য!
আগ্রাসনটা তামিমের মধ্যে এখনো আছে। কিন্তু সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে শিখেছেন দারুণভাবে। বোলারদের পেটানোর কাজটা ভুলে যাননি একেবারেই। তবে পেটানোর মতো বল আর সময় বেছে নেওয়ায় এখন তিনি অনেক পরিণত। ঔদ্ধত্যের সঙ্গে এই বিচক্ষণতাই তামিমকে বানিয়েছে এই সময়ে দেশের সেরা ব্যাটসম্যান।
পরিসংখ্যান অবশ্য বলছে, শুধু সময়ের সেরা নন, তামিম বাংলাদেশের ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। টেস্ট ও ওয়ানডে দুটিতেই দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান ও সর্বোচ্চ ইনিংস তাঁর। দুটিতেই আটটি করে সেঞ্চুরি, যা দেশের হয়ে সর্বোচ্চ। ওয়ানডেতে তামিম কমপক্ষে ফিফটি করেছেন, এমন ৪৪টি ম্যাচের ২৫টিতেই জিতেছে বাংলাদেশ। একা আর কোনো ব্যাটসম্যান কি বাংলাদেশের জয়ে এত বড় ভূমিকা রাখতে পেরেছেন কখনো?
বিশেষ করে, গত প্রায় দুই বছরের দুর্দান্ত ফর্ম তামিমকে নিয়ে গেছে নতুন উচ্চতায়। ওয়ানডেতে তাঁর ক্যারিয়ার গড় যেখানে ৩৩.৪৩, সেখানে এই সংস্করণে ২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে এ পর্যন্ত তাঁর গড় ৫৫.২০! শুরুর সেই খেপা তামিম আর এই তামিমে কত পার্থক্য বুঝতে পারছেন তো?
দিন দিন তাঁর কাছে প্রত্যাশাটা যে বেড়েই চলছে, সেটা জানেন তামিমও। জানেন বলেই, এখন তিনিও মুখিয়ে থাকেন সেই আস্থার প্রতিদান দিতে। আয়ারল্যান্ডেই সদ্য সমাপ্ত ত্রিদেশীয় সিরিজের চার ম্যাচে তাঁর রান ৬৪, ২৩, ৪৭, ৬৫। এরপর আবার বার্মিংহামে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচেও ৯৩ বলে ১০২ রানের ঝলমলে ইনিংস। সবচেয়ে বড় কথা, সাত বছর আগে সর্বশেষ ইংল্যান্ড সফর থেকে দারুণ কিছু স্মৃতি নিয়ে ফিরেছিলেন বাংলাদেশের এই ওপেনার। সেই স্মৃতির কিছুও যদি এবার ফিরিয়ে আনতে পারেন তামিম, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিটা স্মরণীয় হয়ে থাকতে পারে বাংলাদেশের জন্য।
কী প্রশ্ন? চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের কার ব্যাটে সবচেয়ে বেশি ভরসা রাখা যায়? শুধু ব্যাটিং ব্যাকরণের পরীক্ষা যদি নেন, মুশফিকুর রহিমের চেয়ে বেশি নম্বর বাংলাদেশের কেউ পাবেন না। ধারাবাহিকতায় আবার সাকিব আল হাসান এগিয়ে থাকবেন। সৌম্য সরকারের ব্যাট যেন বদলে যাওয়া বাংলাদেশেরই প্রতীক। সাব্বির রহমানের নির্ভীক ব্যাটিং আশা দেখায় আগামী দিনের বাংলাদেশকে নিয়ে। কিন্তু তাঁরা কেউই আসলে তামিম নন!
একটা সময় তাঁর ব্যাট ছিল ঔদ্ধত্যের প্রতিশব্দ। তিনিও এত কিছু বুঝতে-শুনতে চাইতেন না। বোলারদের যেভাবে পারা যায় পেটানোই মনে করতেন সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। কিন্তু সেই তামিম আর এখনকার তামিমে অনেক পার্থক্য!
আগ্রাসনটা তামিমের মধ্যে এখনো আছে। কিন্তু সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে শিখেছেন দারুণভাবে। বোলারদের পেটানোর কাজটা ভুলে যাননি একেবারেই। তবে পেটানোর মতো বল আর সময় বেছে নেওয়ায় এখন তিনি অনেক পরিণত। ঔদ্ধত্যের সঙ্গে এই বিচক্ষণতাই তামিমকে বানিয়েছে এই সময়ে দেশের সেরা ব্যাটসম্যান।
পরিসংখ্যান অবশ্য বলছে, শুধু সময়ের সেরা নন, তামিম বাংলাদেশের ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। টেস্ট ও ওয়ানডে দুটিতেই দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান ও সর্বোচ্চ ইনিংস তাঁর। দুটিতেই আটটি করে সেঞ্চুরি, যা দেশের হয়ে সর্বোচ্চ। ওয়ানডেতে তামিম কমপক্ষে ফিফটি করেছেন, এমন ৪৪টি ম্যাচের ২৫টিতেই জিতেছে বাংলাদেশ। একা আর কোনো ব্যাটসম্যান কি বাংলাদেশের জয়ে এত বড় ভূমিকা রাখতে পেরেছেন কখনো?
বিশেষ করে, গত প্রায় দুই বছরের দুর্দান্ত ফর্ম তামিমকে নিয়ে গেছে নতুন উচ্চতায়। ওয়ানডেতে তাঁর ক্যারিয়ার গড় যেখানে ৩৩.৪৩, সেখানে এই সংস্করণে ২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে এ পর্যন্ত তাঁর গড় ৫৫.২০! শুরুর সেই খেপা তামিম আর এই তামিমে কত পার্থক্য বুঝতে পারছেন তো?
দিন দিন তাঁর কাছে প্রত্যাশাটা যে বেড়েই চলছে, সেটা জানেন তামিমও। জানেন বলেই, এখন তিনিও মুখিয়ে থাকেন সেই আস্থার প্রতিদান দিতে। আয়ারল্যান্ডেই সদ্য সমাপ্ত ত্রিদেশীয় সিরিজের চার ম্যাচে তাঁর রান ৬৪, ২৩, ৪৭, ৬৫। এরপর আবার বার্মিংহামে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচেও ৯৩ বলে ১০২ রানের ঝলমলে ইনিংস। সবচেয়ে বড় কথা, সাত বছর আগে সর্বশেষ ইংল্যান্ড সফর থেকে দারুণ কিছু স্মৃতি নিয়ে ফিরেছিলেন বাংলাদেশের এই ওপেনার। সেই স্মৃতির কিছুও যদি এবার ফিরিয়ে আনতে পারেন তামিম, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিটা স্মরণীয় হয়ে থাকতে পারে বাংলাদেশের জন্য।